প্রিয় HSC শিক্ষার্থী বন্ধুরা..
লেখার শুরুতেই তোমাদের প্রতি রইল আমাদের আন্তরিক অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা। নার্সিং-এ একটি আসনে ভর্তির সুযোগ পাওয়া প্রত্যেক শিক্ষার্থীর জন্য সম্মান ও গৌরবের বিষয়। শিক্ষার্থীদের সেই সম্মান ও গৌরবময় সূত্রকে স্বার্থক করে দিতেই ২০১০ সালে যাত্রা করে V@C (Varsity & Nursing Admission Care) বিশ্ববিদ্যালয় ও নার্সিং ভর্তি প্রোগ্রাম। যার শিক্ষকতা ও পরিচালনায় রয়েছে মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় এবং হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠানের বিগত ১০ বছরের মেধাবী, আত্মপ্রতায়ী ও অভিজ্ঞ এক ঝাঁক তরুণ।
V@C ( Varsity & Nursing Admission Care) বিশ্ববিদ্যালয় ও নার্সিং ভর্তি প্রোগ্রাম নামটি তোমাদের কাছে নতুন মনে হলেও এর শিক্ষকরা শিক্ষা জগতে কিন্তু কেউই নতুন নন। শিক্ষাদানে তাদের প্রত্যেকেই সুদীর্ঘ অভিজ্ঞতায় সমৃদ্ধ, ব্যক্তিগত যশ-খ্যাতিতে প্রসিদ্ধ এবং স্ব-স্ব বিষয়ে পাঠদানেও প্রসিদ্ধ।
ভুল প্রস্তুতি, সঠিক গাইড লাইনের অভাবে এবং গুরুত্বপূর্ণ তথ্যের অভাবে একজন শিক্ষার্থী তার স্বপ্ন থেকে অনেক দূরে সরে যায়। কোন কোন বিষয় পড়তে হবে, প্রশ্নের ধরণ, মার্ক বন্টন কিংবা ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ নেয়ার পদ্ধতি কেমন হবে, এমন অনেক প্রশ্নের উত্তর না জানার কারণে সঠিকভাবে প্রস্তুতি শুরুই করতে পারে না অনেকে। কিন্তু প্রতি বছর উচ্চ শিক্ষার প্রতি শিক্ষার্থীদের আগ্রহ ও প্রতিযোগিতা উভয়ই বৃদ্ধি পাচ্ছে ব্যাপকভাবে। নার্সিং-এ এক ঘন্টার ভর্তি পরীক্ষাই নির্ভর করে তোমার নার্সিং-এ চান্স পাওয়া না পাওয়ার। তাই ভর্তি পরীক্ষায় সাফল্য অর্জনের জন্য HSC পরীক্ষা। পরবর্তী কয়েকটি মাসই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়ায়। এই সময়টাতে যথাযথ দিক-নির্দেশনা না পেলে এবং নিয়মতান্ত্রিক উপায়ে পড়ালেখা না করলে। নার্সিং-এ ভর্তির স্বপ্ন অঙ্কুরেই বিনষ্ট হতে বাধ্য। আর শিক্ষার্থীদেরকে এই নিয়মতান্ত্রিকতা ও কৌশল সম্পর্কে অবগত করা তথাপি সার্বিক দিক-নির্দেশনা দিতে V@C Varsity & Nursing Admission Care) পরিবার অঙ্গীকারবদ্ধ।
তাই তোমার স্বপ্নের নার্সিং কলেজে ভর্তি হতে ও ভর্তি পরীক্ষায় এগিয়ে থাকতে হলে, তোমার পরিকল্পনা গোছাতে হবে এখন থেকেই। আর এজন্য @C (Varsity & Nursing Admission Care) হতে পারে তোমার এক আস্থার নাম। তোমার স্বপ্নের নার্সিং কলেজে ভর্তি হতে V@C arsity & Nursing Admission Care) তৈরি করেছে এমন সব তথ্যসমৃদ্ধ ও জনপ্রিয় লেকচার শিট যা তোমাকে করবে আরো আত্মপ্রত্যয়ী * আত্মবিশ্বাসী। সব লেকচার শিটই ভর্তি পরীক্ষাকেন্দ্রিক এবং সম্পূর্ণ প্রাসঙ্গিক। তোমাদের স্বপ্নের নার্সিং কলেজে ভর্তি হতে তোমাদের জন্য থাকছে-
এখন সিদ্ধান্ত তোমার। কারণ ভর্তি পরীক্ষায় সারা রাত-দিন পড়েও অনেকে চান্স পায় না শুধুমাত্র পর্যাপ্ত গাইডলাইন এবং কি পড়তে হবে, কি বাদ দিতে হবে এগুলো না জানার কারণে। তাই নিজেকে শতভাগ প্রস্তুত করতে এখনি তুমি ভর্তি হয়ে যাও V@C (Varsity Admission Care) এর অভিজ্ঞ মেন্টরদের নিবিড় পরিচর্যায় পরিচালিত আমাদের স্পেশাল নার্সিং এডমিশন প্রোগ্রামে।
বসে কি ভাবছো? উঠো আর লেগে যাও তোমার স্বপ্ন পূরণের প্রত্যয়ে। দেখা হবে বিজয়ে। সর্বশেষে বলতে চাই দেখার, বুঝার ও জানার জন্য হলেও একবার চলে এসো তোমার ভবিষ্যৎ স্বপ্ন পুরণের বিনির্মানের এই মোহনায়।
রোগীদের পাশে থেকে চিকিৎসার কাজে সাহায্য করে তাদের শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ করে তোলাই হলো সেবক বা সেবিকাদের প্রধান কাজ। এই কাজ যারা করেন তাদের নার্স বলা হয়।
চিকিৎসা বিজ্ঞানের উন্নতির সাথে সাথে মানুষের গড় আয়ুও (Life expeotoncy) বেড়েছে। আজকের দিনে ক্যান্সারের মতো দূরারোগ্য রোগের চিকিৎসাও সম্ভব হচ্ছে চিকিৎসা বিজ্ঞানের কল্যাণে। তাই সময়ের সাথে সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে চিকিৎসা ব্যবস্থার ব্যাপক চাহিদা। কিন্তু আমাদের দেশে চিকিৎসার পরিসেবা অপ্রতুল। গোটা দেশেই এখন নার্স সংকট প্রকট রূপ ধারণ করেছে। নার্সিং অ্যান্ড মিডওয়াইফারি অধিদপ্তর ও বাংলাদেশ নার্সিং অ্যান্ড মিডওয়াইফারি কাউন্সিলের তথ্য অনুযায়ী, দেশে এখন নার্সের প্রয়োজন তিন লাখের বেশি। যদিও নিবন্ধিত নার্স আছেন ৮৪ হাজার। সে হিসেবে দেশে নার্স আছে প্রয়োজনের তুলনায় মাত্র ২৮ শতাংশ। প্রতি চিকিৎসকের বিপরীতে তিনজন নার্স থাকার কথা থাকলেও রয়েছেন দশমিক ৩০ জন। আবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মানদন্ড অনুযায়ী, প্রতি ১০ হাজার জনসংখ্যার বিপরীতে ২৩ জন নার্স থাকার কথা। যদিও বাংলাদেশে এখন সংখ্যা তিনজন। এই তথ্য থেকে খুব স্পষ্ট যে আগামী দিনে প্রচুর দক্ষ সেবক-সেবিকার প্রয়োজন হবে।
তাই নার্সিং করে ঘরে বেকার বসে রয়েছে এই চিত্র খুবই বিরল। শুধু বাংলাদেশে কেন, বিদেশেও এই পেশায় কাজের সুযোগের অভাব নেই।
একজন নার্স শুধুমাত্র রোগীর সেবায় নিযুক্ত থাকে, এই ধারণা সঠিক নয়। রোগীর পরিসেবার পাশাপাশি বহুক্ষেত্রে তাদের চিকিৎসা ক্ষেত্রে পরিচালনার দায়িত্ব পালন করতে হয়। আমরা নার্সিং পেশার সঙ্গে জড়িত বিভিন্ন পদগুলি দেখে নেব।
বাংলাদেশের একজন নার্স সরকারি চাকরিতে দ্বিতীয় পদমর্যাদার চাকরি করে থাকে । যার মূল বেতন জাতীয় বেতন স্কেল ২০ ডি অনুযায়ী গ্রেট ১৬০০০-৩৮৬৪০ টাকা। এছাড়া বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতাল লেভেল অনুযায়ী বিভিন্ন রকম বেতন দিয়ে থাকে।
বিদ্র: যারা বিজ্ঞান বিভাগ থেকে HSC পরীক্ষায় পাশ করেছে, কেবল তারাই BSC Nursing এ পরীক্ষা দিতে পারবে।
নার্সিং ভর্তি পরীক্ষায় নেগেটিভ মার্কিং নেই। অর্থাৎ ভুল উত্তর দিলে তার জন্য কোন মার্ক/নম্বর কাটা যাবে না/ মার্ক মাইনাস করা হবে না।
প্রতিযোগীতার উপর ভিত্তি করে সরকারি নার্সিং কলেজে চান্স পাওয়ার কার্ট মার্ক নির্ধারিত হয়। সরকারি নার্সিং-এ চান্স পেতে এখন আগের তুলনায় অনেক বেশী নম্বর পেতে হয়। মেয়েদের ক্ষেত্রে ৭০+ এবং ছেলেদের ক্ষেত্রে গড়ে ৮৫+ নম্বর পেলে চান্স পাওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। এখন প্রতিযোগীতা অনেক বেড়ে গেছে। তবে পাশ মার্ক মেডিকেলের মতো ৪০+। সরকারি-বেসরকারি সম্মিলিত করে অনুষ্ঠিত নার্সিং ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করা ব্যতিত বেসরকারি নার্সিং কলেজ/ইনস্টিটিউটে ভর্তি হওয়া যায় না। ভর্তি পরীক্ষায় ৪০+ নম্বর পেলেই কেবলমাত্র বেসরকারি নার্সিং কলেজে/ইন্সটিটিউটে ভর্তি হওয়া যায়।
বিঃদ্রঃ ডিপ্লোমা ইন মিডওয়াইফারি তে শুধুমাত্র মেয়ে/মহিলারাই আবেদন করতে পারবেন। বিবাহিত মহিলারাও করতে পারবেন।।
ক্র. নং | নার্সিং কলেজের নাম | কলেজ/ইন্সটিটিউট সংখ্যা | আসন সংখ্যা |
01 | সরকারি বিএসসি ইন নার্সিং কলেজ | 15 | 1280 |
02 | বে-সরকারি বিএসসি ইন নার্সিং কলেজ | 66 | 7180 |
03 | সরকারি ডিপ্লোমা ইন নার্সিং ইন্সটিটিউট | 47 | 2755 |
04 | বে-সরকারি ডিপ্লোমা ইন নার্সিং ইন্সটিটিউট | 33 | 16780 |
05 | সরকারি ডিপ্লোমা ইন মিডওয়াইফারি ইন্সটিটিউট | 62 | 1825 |
06 | বে-সরকারি ডিপ্লোমা ইন মিডওয়াইফারি ইন্সটিটিউট | 105 | 3810 |
মোট আসন = 33610 টি |
বি.দ্র. উপরের তথ্যেসমূহ ইন্টরনেট, সংবাদপত্র, পত্রিকায় প্রকাশিত রিপোর্ট ইত্যাদি থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। তথ্যেসমূহ যথাসম্ভব ত্রুটিমুক্ত রাখার চেষ্টা করা হয়েছে, তথ্যে কোনরূপ ত্রুটি চিহ্নিত হলে তা অনিচ্ছাকৃত ত্রুটি হিসেবে গণ্য করবেন
হ্যাঁ, অবশ্যই এক্সাম ছাড়া প্রস্তুতি অসম্পূর্ণ। তাই ক্লাসের পর আমরা সবচেয়ে বেশি জোর দিয়েছি নিয়মিত এক্সাম এর উপরে ।
কোর্সে মোট ৫ ধাপে এক্সাম হবে-
হ্যাঁ, এই কোর্সে বছরের যে কোন সময় ভর্তি হওয়া যায়।
কোর্সের ক্লাস ও পরীক্ষা চলবে নার্সিং ভর্তি পরীক্ষার আগ পর্যন্ত ।
হ্যাঁ, মূল ক্লাসের বাইরেও স্পেশাল যে সকল ক্লাস নেওয়া হবে:
সকাল ব্যাচ | দুপুর ও বিকাল ব্যাচ | ||
কোর্সের নাম | সময় | কোর্সের নাম | সময় |
বিএসসি ইন নার্সিং - ১ | ৭.৩০ - ১০.০০ পর্যন্ত | বিএসসি ইন নার্সিং - ১ | ১.৩০ - ৪.০০ পর্যন্ত |
বিএসসি ইন নার্সিং - ২ | ১০.৩০ - ১.০০ পর্যন্ত | বিএসসি ইন নার্সিং - ২ | ৪.০০ - ৬.৩০ পর্যন্ত |
বিএসসি ইন ডিপ্লোমা - ১ | ৭.৩০ - ১০.০০ পর্যন্ত | বিএসসি ইন ডিপ্লোমা - ১ | ১.৩০ - ৪.০০ পর্যন্ত |
বিএসসি ইন ডিপ্লোমা - ২ | ১০.৩০ - ১.০০ পর্যন্ত | বিএসসি ইন ডিপ্লোমা - ২ | ৪.০০ - ৬.৩০ পর্যন্ত |